রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশসহ এশিয়ার এই অঞ্চলের অন্যত্র বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এই সহায়তা পাবেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দেশটি নতুন এই সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। রোহিঙ্গা এই শরণার্থী সংকট সাম্প্রতিক ইতিহাসে সৃষ্ট সবচেয়ে বড়, দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া সংকটগুলোর একটি।
রোহিঙ্গারা প্রধানত মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল তারা। প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর থেকে রোহিঙ্গারা সেখানে বিস্তীর্ণ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের ওপর এই নিধনযজ্ঞ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের একটি সৃষ্টি করেছে।
মিয়ানমারের পুরানো নাম ব্যবহার করে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘নতুন এই সহায়তা তহবিল বার্মা-বাংলাদেশ সীমান্তের উভয় দিকে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান চালিয়ে যেতে আমাদের মানবিক অংশীদারদের সুযোগ দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা জনগণকে দেওয়া মার্কিন সহায়তার মোট পরিমাণ ২১০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। মঙ্গলবার সংস্থাটি এই সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে।
পাঠকের মতামত